ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়নের একটি কাঁচা রাস্তা সংস্কারের জন্যে বরাদ্দকৃত টি,আর খাতের টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী ইকুরিয়া কান্দা গ্রামের সরকার বাড়ি জামে মসজিদ হইতে সুলতান ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা সংস্কারের জন্যে টি,আর প্রকল্পের আওতায় ১লক্ষ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যে প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন স্বয়ং। অপর দিকে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের বাড়ি হইতে রোকন উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্যে আরেকটি টি, আর প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যে প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় মেম্বার রফিকুল ইসলাম। উক্ত প্রকল্প দু’টিতে কাজ না করেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনের পর ভাগভাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. সিরাজ উদ্দিন ভূইয়া স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশন এর উপ-পরিচালক বরাবর প্রদান করেন ।
এবিষয়ে অভিযোগকারী সিরাজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, উক্ত রাস্তায় পাঁচ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। বৃষ্টি হলে গ্রামবাসীসহ স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। ওই অবস্থায় আমরা এলাকাবাসী মিলে একটি ইটের খলা থেকে কিছু ডাস্ট ও রাবিশ কিনে এনে রাস্তাটিতে ফেলেছি। পরে জানতে পারি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ আসলেও কাজ না করে পুরো টাকা চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলে আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসী সহ দুদক বরাবর তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছি।
মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, টিআর প্রকল্প পেয়ে চার মাস আগে রাস্তাটিতে কাজ করেছি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন আবার কাজ করে দিচ্ছি।
চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বলেন, বরাদ্দ পাওয়ার পর বৃষ্টির কারণে মাটির অভাবে রাস্তার সংস্কার কাজ করতে পারিনি এখন দ্রুত করে দেবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, যদি বিষয়টি এমন হয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সাথে কথা বলে কাজটি করে দিতে বলবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর কাজ না করা এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। যদিও এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বিষয়টি আমি দেখছি।